কবিতা
শরৎ
অনেকদিন সবকিছু ডুবেআছে
ক্রোধ,অভিমান ,ভালোলাগাও।
আসলে কোথাও শরৎ ছিলনা।
তাই একটুও আগুন জ্বলেনি।
শুধুই মনোটনাস বৃষ্টি।
আমার পৃথিবী কী ডুবে যাচ্ছে ?
আকাশমুখী প্রশ্ন করেছিলাম ,
হায়! ইশ্বর কিছুই বলেনি।
কোথায় উড়ে যেতে ?
একটা জীবন তোমার
যদি পানকৌড়িই হতে
শূন্যের খোঁজ পেতে
কোথায় উড়ে যেতে ?
একটা জীবন তোমার
ধর শামুকই বা হতে
এমন সহজ করে
কত দূর আর হারাতে ?
একটা জীবন তোমার
অনেক ভালো থাকো।
নিজেকে নিজের কাছে
নিজের মতই রাখো।
কথা
আমি কথা দেওয়ার কে বলো।
আমি কথা দেওয়ার কেউ না।
শপথ প্রকৃতির, ও ই জানে সব।
আমি বোকা জীব,নদীর ঢেউ না।
ঢেউ জানে কোথায় যেতে হয়
তারচেয়ে বরং পাখির কথা ধরো।
স্বভাবে আমি পাখির কাছাকাছি।
কেবল ওড়ো । মন চাইলেই ওড়ো।
পাখিরা শুধু গাছকেই কথা দেয়।
কিন্তু তুমি কী গাছ? মোটেও তা না।
তোমার কপালে যাযাবর রেখা তাই,
আমারও কোন কথা দেওয়া মানা।
জটিলতা
পাঁচিলের সবুজ পাখিগুলো,
আমায় জটিলতা দেয় না।
বরংচ কিছক্ষণ মনে হয়-
আমি নিজের কাছেই আছি।
ঠিক হারিয়ে যাওয়া না,
আবার ফিরে আসাও না।
হয়ত শৈশবেই কোন ছবি
এমন করে কোথাও এঁকেছি।
নারী
আকাশ কালো
আকাশ আকাশী
আকাশ বেগুনী
আকাশ ফর্সা।
আকাশ নিমিষে
খরতাপ থেকে
মেঘমেঘ ডাক
প্রিয়ো বর্ষা।
জানি ইশ্বোরও
জানেনি আকাশ
কেনো বদলায়
এতো সহসা।
তবু খুঁজতেসি!
অস্থিরতম
আকাশের বুকে
মুখ ভরসা।